বাংলা
সূরা আন-নামল - Verses Number 227
طسم
( 1 )
ত্বা, সীন, মীম।
تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ
( 2 )
এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত।
لَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ أَلَّا يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ
( 3 )
তারা বিশ্বাস করে না বলে আপনি হয়তো মর্মব্যথায় আত্নঘাতী হবেন।
إِن نَّشَأْ نُنَزِّلْ عَلَيْهِم مِّنَ السَّمَاءِ آيَةً فَظَلَّتْ أَعْنَاقُهُمْ لَهَا خَاضِعِينَ
( 4 )
আমি যদি ইচ্ছা করি, তবে আকাশ থেকে তাদের কাছে কোন নিদর্শন নাযিল করতে পারি। অতঃপর তারা এর সামনে নত হয়ে যাবে।
وَمَا يَأْتِيهِم مِّن ذِكْرٍ مِّنَ الرَّحْمَٰنِ مُحْدَثٍ إِلَّا كَانُوا عَنْهُ مُعْرِضِينَ
( 5 )
যখনই তাদের কাছে রহমান এর কোন নতুন উপদেশ আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
فَقَدْ كَذَّبُوا فَسَيَأْتِيهِمْ أَنبَاءُ مَا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِئُونَ
( 6 )
অতএব তারা তো মিথ্যারোপ করেছেই; সুতরাং যে বিষয় নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তার যথার্থ স্বরূপ শীঘ্রই তাদের কাছে পৌছবে।
أَوَلَمْ يَرَوْا إِلَى الْأَرْضِ كَمْ أَنبَتْنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوْجٍ كَرِيمٍ
( 7 )
তারা কি ভুপৃষ্ঠের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না? আমি তাতে সর্বপ্রকার বিশেষ-বস্তু কত উদগত করেছি।
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
( 8 )
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
( 9 )
আপনার পালনকর্তা তো পরাক্রমশালী পরম দয়ালু।
وَإِذْ نَادَىٰ رَبُّكَ مُوسَىٰ أَنِ ائْتِ الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ
( 10 )
যখন আপনার পালনকর্তা মূসাকে ডেকে বললেনঃ তুমি পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের নিকট যাও;
قَوْمَ فِرْعَوْنَ ۚ أَلَا يَتَّقُونَ
( 11 )
ফেরাউনের সম্প্রদায়ের নিকট; তারা কি ভয় করে না?
قَالَ رَبِّ إِنِّي أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ
( 12 )
সে বলল, হে আমার পালনকর্তা, আমার আশংকা হচ্ছে যে, তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলে দেবে।
وَيَضِيقُ صَدْرِي وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِي فَأَرْسِلْ إِلَىٰ هَارُونَ
( 13 )
এবং আমার মন হতবল হয়ে পড়ে এবং আমার জিহবা অচল হয়ে যায়। সুতরাং হারুনের কাছে বার্তা প্রেরণ করুন।
وَلَهُمْ عَلَيَّ ذَنبٌ فَأَخَافُ أَن يَقْتُلُونِ
( 14 )
আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ আছে। অতএব আমি আশংকা করি যে, তারা আমাকে হত্যা করবে।
قَالَ كَلَّا ۖ فَاذْهَبَا بِآيَاتِنَا ۖ إِنَّا مَعَكُم مُّسْتَمِعُونَ
( 15 )
আল্লাহ বলেন, কখনই নয় তোমরা উভয়ে যাও আমার নিদর্শনাবলী নিয়ে। আমি তোমাদের সাথে থেকে শোনব।
فَأْتِيَا فِرْعَوْنَ فَقُولَا إِنَّا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
( 16 )
অতএব তোমরা ফেরআউনের কাছে যাও এবং বল, আমরা বিশ্বজগতের পালনকর্তার রসূল।
أَنْ أَرْسِلْ مَعَنَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
( 17 )
যাতে তুমি বনী-ইসরাঈলকে আমাদের সাথে যেতে দাও।
قَالَ أَلَمْ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدًا وَلَبِثْتَ فِينَا مِنْ عُمُرِكَ سِنِينَ
( 18 )
ফেরাউন বলল, আমরা কি তোমাকে শিশু অবস্থায় আমাদের মধ্যে লালন-পালন করিনি? এবং তুমি আমাদের মধ্যে জীবনের বহু বছর কাটিয়েছ।
وَفَعَلْتَ فَعْلَتَكَ الَّتِي فَعَلْتَ وَأَنتَ مِنَ الْكَافِرِينَ
( 19 )
তুমি সেই-তোমরা অপরাধ যা করবার করেছ। তুমি হলে কৃতঘ্ন।
قَالَ فَعَلْتُهَا إِذًا وَأَنَا مِنَ الضَّالِّينَ
( 20 )
মূসা বলল, আমি সে অপরাধ তখন করেছি, যখন আমি ভ্রান্ত ছিলাম।
فَفَرَرْتُ مِنكُمْ لَمَّا خِفْتُكُمْ فَوَهَبَ لِي رَبِّي حُكْمًا وَجَعَلَنِي مِنَ الْمُرْسَلِينَ
( 21 )
অতঃপর আমি ভীত হয়ে তোমাদের কাছ থেকে পলায়ন করলাম। এরপর আমার পালনকর্তা আমাকে প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং আমাকে পয়গম্বর করেছেন।
وَتِلْكَ نِعْمَةٌ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنْ عَبَّدتَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ
( 22 )
আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের কথা বলছ, তা এই যে, তুমি বনী-ইসলাঈলকে গোলাম বানিয়ে রেখেছ।
قَالَ فِرْعَوْنُ وَمَا رَبُّ الْعَالَمِينَ
( 23 )
ফেরাউন বলল, বিশ্বজগতের পালনকর্তা আবার কি?
قَالَ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ
( 24 )
মূসা বলল, তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর পালনকর্তা যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।
قَالَ لِمَنْ حَوْلَهُ أَلَا تَسْتَمِعُونَ
( 25 )
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, তোমরা কি শুনছ না?
قَالَ رَبُّكُمْ وَرَبُّ آبَائِكُمُ الْأَوَّلِينَ
( 26 )
মূসা বলল, তিনি তোমাদের পালনকর্তা এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরও পালনকর্তা।
قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ الَّذِي أُرْسِلَ إِلَيْكُمْ لَمَجْنُونٌ
( 27 )
ফেরাউন বলল, তোমাদের প্রতি প্রেরিত তোমাদের রসূলটি নিশ্চয়ই বদ্ধ পাগল।
قَالَ رَبُّ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَمَا بَيْنَهُمَا ۖ إِن كُنتُمْ تَعْقِلُونَ
( 28 )
মূসা বলল, তিনি পূর্ব, পশ্চিম ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর পালনকর্তা, যদি তোমরা বোঝ।
قَالَ لَئِنِ اتَّخَذْتَ إِلَٰهًا غَيْرِي لَأَجْعَلَنَّكَ مِنَ الْمَسْجُونِينَ
( 29 )
ফেরাউন বলল, তুমি যদি আমার পরিবর্তে অন্যকে উপাস্যরূপে গ্রহণ কর তবে আমি অবশ্যই তোমাকে কারাগারে নিক্ষেপ করব।
قَالَ أَوَلَوْ جِئْتُكَ بِشَيْءٍ مُّبِينٍ
( 30 )
মূসা বলল, আমি তোমার কাছে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে আগমন করলেও কি?
قَالَ فَأْتِ بِهِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
( 31 )
ফেরাউন বলল, তুমি সত্যবাদী হলে তা উপস্থিত কর।
فَأَلْقَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعْبَانٌ مُّبِينٌ
( 32 )
অতঃপর তিনি লাঠি নিক্ষেপ করলে মুহূর্তের মধ্যে তা সুস্পষ্ট অজগর হয়ে গেল।
وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ
( 33 )
আর তিনি তার হাত বের করলেন, তৎক্ষণাৎ তা দর্শকদের কাছে সুশুভ্র প্রতিভাত হলো।
قَالَ لِلْمَلَإِ حَوْلَهُ إِنَّ هَٰذَا لَسَاحِرٌ عَلِيمٌ
( 34 )
ফেরাউন তার পরিষদবর্গকে বলল, নিশ্চয় এ একজন সুদক্ষ জাদুকর।
يُرِيدُ أَن يُخْرِجَكُم مِّنْ أَرْضِكُم بِسِحْرِهِ فَمَاذَا تَأْمُرُونَ
( 35 )
সে তার জাদু বলে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায়। অতএব তোমাদের মত কি?
قَالُوا أَرْجِهْ وَأَخَاهُ وَابْعَثْ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
( 36 )
তারা বলল, তাকে ও তার ভাইকে কিছু অবকাশ দিন এবং শহরে শহরে ঘোষক প্রেরণ করুন।
يَأْتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٍ
( 37 )
তারা যেন আপনার কাছে প্রত্যেকটি দক্ষ জাদুকর কে উপস্থিত করে।
فَجُمِعَ السَّحَرَةُ لِمِيقَاتِ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
( 38 )
অতঃপর এক নির্দিষ্ট দিনে জাদুকরদেরকে একত্রিত করা হল।
وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلْ أَنتُم مُّجْتَمِعُونَ
( 39 )
এবং জনগণের মধ্যে ঘোষণা করা হল, তোমরাও সমবেত হও।
لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ السَّحَرَةَ إِن كَانُوا هُمُ الْغَالِبِينَ
( 40 )
যাতে আমরা জাদুকরদের অনুসরণ করতে পারি-যদি তারাই বিজয়ী হয়।
فَلَمَّا جَاءَ السَّحَرَةُ قَالُوا لِفِرْعَوْنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجْرًا إِن كُنَّا نَحْنُ الْغَالِبِينَ
( 41 )
যখন যাদুকররা আগমণ করল, তখন ফেরআউনকে বলল, যদি আমরা বিজয়ী হই, তবে আমরা পুরস্কার পাব তো?
قَالَ نَعَمْ وَإِنَّكُمْ إِذًا لَّمِنَ الْمُقَرَّبِينَ
( 42 )
ফেরাউন বলল, হঁ্যা এবং তখন তোমরা আমার নৈকট্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
قَالَ لَهُم مُّوسَىٰ أَلْقُوا مَا أَنتُم مُّلْقُونَ
( 43 )
মূসা (আঃ) তাদেরকে বললেন, নিক্ষেপ কর তোমরা যা নিক্ষেপ করবে।
فَأَلْقَوْا حِبَالَهُمْ وَعِصِيَّهُمْ وَقَالُوا بِعِزَّةِ فِرْعَوْنَ إِنَّا لَنَحْنُ الْغَالِبُونَ
( 44 )
অতঃপর তারা তাদের রশি ও লাঠি নিক্ষেপ করল এবং বলল, ফেরাউনের ইযযতের কসম, আমরাই বিজয়ী হব।
فَأَلْقَىٰ مُوسَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ
( 45 )
অতঃপর মূসা তাঁর লাঠি নিক্ষেপ করল, হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গ্রাস করতে লাগল।
فَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ
( 46 )
তখন জাদুকররা সেজদায় নত হয়ে গেল।
قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
( 47 )
তারা বলল, আমরা রাব্বুল আলামীনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।
رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ
( 48 )
যিনি মূসা ও হারুনের রব।
قَالَ آمَنتُمْ لَهُ قَبْلَ أَنْ آذَنَ لَكُمْ ۖ إِنَّهُ لَكَبِيرُكُمُ الَّذِي عَلَّمَكُمُ السِّحْرَ فَلَسَوْفَ تَعْلَمُونَ ۚ لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَافٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ
( 49 )
ফেরাউন বলল, আমার অনুমতি দানের পূর্বেই তোমরা কি তাকে মেনে নিলে? নিশ্চয় সে তোমাদের প্রধান, যে তোমাদেরকে জাদু শিক্ষা দিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা পরিণাম জানতে পারবে। আমি অবশ্যই তোমাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব। এবং তোমাদের সবাইকে শূলে চড়াব।
قَالُوا لَا ضَيْرَ ۖ إِنَّا إِلَىٰ رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ
( 50 )
তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করব।
إِنَّا نَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَايَانَا أَن كُنَّا أَوَّلَ الْمُؤْمِنِينَ
( 51 )
আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্যুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী।
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَسْرِ بِعِبَادِي إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ
( 52 )
আমি মূসাকে আদেশ করলাম যে, আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও, নিশ্চয় তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
فَأَرْسَلَ فِرْعَوْنُ فِي الْمَدَائِنِ حَاشِرِينَ
( 53 )
অতঃপর ফেরাউন শহরে শহরে সংগ্রাহকদেরকে প্রেরণ করল,
إِنَّ هَٰؤُلَاءِ لَشِرْذِمَةٌ قَلِيلُونَ
( 54 )
নিশ্চয় এরা (বনী-ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল।
وَإِنَّهُمْ لَنَا لَغَائِظُونَ
( 55 )
এবং তারা আমাদের ক্রোধের উদ্রেক করেছে।
وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَاذِرُونَ
( 56 )
এবং আমরা সবাই সদা শংকিত।
فَأَخْرَجْنَاهُم مِّن جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
( 57 )
অতঃপর আমি ফেরআউনের দলকে তাদের বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিষ্কার করলাম।
وَكُنُوزٍ وَمَقَامٍ كَرِيمٍ
( 58 )
এবং ধন-ভান্ডার ও মনোরম স্থানসমূহ থেকে।
كَذَٰلِكَ وَأَوْرَثْنَاهَا بَنِي إِسْرَائِيلَ
( 59 )
এরূপই হয়েছিল এবং বনী-ইসলাঈলকে করে দিলাম এসবের মালিক।
فَأَتْبَعُوهُم مُّشْرِقِينَ
( 60 )
অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তারা তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল।
فَلَمَّا تَرَاءَى الْجَمْعَانِ قَالَ أَصْحَابُ مُوسَىٰ إِنَّا لَمُدْرَكُونَ
( 61 )
যখন উভয় দল পরস্পরকে দেখল, তখন মূসার সঙ্গীরা বলল, আমরা যে ধরা পড়ে গেলাম।
قَالَ كَلَّا ۖ إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ
( 62 )
মূসা বলল, কখনই নয়, আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ বলে দেবেন।
فَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنِ اضْرِب بِّعَصَاكَ الْبَحْرَ ۖ فَانفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرْقٍ كَالطَّوْدِ الْعَظِيمِ
( 63 )
অতঃপর আমি মূসাকে আদেশ করলাম, তোমার লাঠি দ্বারা সমূদ্রকে আঘাত কর। ফলে, তা বিদীর্ণ হয়ে গেল এবং প্রত্যেক ভাগ বিশাল পর্বতসদৃশ হয়ে গেল।
وَأَزْلَفْنَا ثَمَّ الْآخَرِينَ
( 64 )
আমি সেথায় অপর দলকে পৌঁছিয়ে দিলাম।
وَأَنجَيْنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُ أَجْمَعِينَ
( 65 )
এবং মূসা ও তাঁর সংগীদের সবাইকে বাঁচিয়ে দিলাম।
ثُمَّ أَغْرَقْنَا الْآخَرِينَ
( 66 )
অতঃপর অপর দলটিকে নিমজ্জত কললাম।
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
( 67 )
নিশ্চয় এতে একটি নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী ছিল না।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
( 68 )
আপনার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ إِبْرَاهِيمَ
( 69 )
আর তাদেরকে ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন।
إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا تَعْبُدُونَ
( 70 )
যখন তাঁর পিতাকে এবং তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কিসের এবাদত কর?
قَالُوا نَعْبُدُ أَصْنَامًا فَنَظَلُّ لَهَا عَاكِفِينَ
( 71 )
তারা বলল, আমরা প্রতিমার পূজা করি এবং সারাদিন এদেরকেই নিষ্ঠার সাথে আঁকড়ে থাকি।
قَالَ هَلْ يَسْمَعُونَكُمْ إِذْ تَدْعُونَ
( 72 )
ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, তোমরা যখন আহবান কর, তখন তারা শোনে কি?
أَوْ يَنفَعُونَكُمْ أَوْ يَضُرُّونَ
( 73 )
অথবা তারা কি তোমাদের উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে?
قَالُوا بَلْ وَجَدْنَا آبَاءَنَا كَذَٰلِكَ يَفْعَلُونَ
( 74 )
তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত।
قَالَ أَفَرَأَيْتُم مَّا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
( 75 )
ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে ভেবে দেখেছ, যাদের পূজা করে আসছ।
أَنتُمْ وَآبَاؤُكُمُ الْأَقْدَمُونَ
( 76 )
তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা ?
فَإِنَّهُمْ عَدُوٌّ لِّي إِلَّا رَبَّ الْعَالَمِينَ
( 77 )
বিশ্বপালনকর্তা ব্যতীত তারা সবাই আমার শত্রু।
الَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهْدِينِ
( 78 )
যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন,
وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ
( 79 )
যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন,
وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِينِ
( 80 )
যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন।
وَالَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحْيِينِ
( 81 )
যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন।
وَالَّذِي أَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لِي خَطِيئَتِي يَوْمَ الدِّينِ
( 82 )
আমি আশা করি তিনিই বিচারের দিনে আমার ক্রটি-বিচ্যুতি মাফ করবেন।
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
( 83 )
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত কর
وَاجْعَل لِّي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ
( 84 )
এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর।
وَاجْعَلْنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
( 85 )
এবং আমাকে নেয়ামত উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর।
وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ
( 86 )
এবং আমার পিতাকে ক্ষমা কর। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্যতম।
وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ
( 87 )
এবং পূনরুত্থান দিবসে আমাকে লাঞ্ছিত করো না,
يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
( 88 )
যে দিবসে ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না;
إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ
( 89 )
কিন্তু যে সুস্থ অন্তর নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে।
وَأُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِينَ
( 90 )
জান্নাত আল্লাহভীরুদের নিকটবর্তী করা হবে।
وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِلْغَاوِينَ
( 91 )
এবং বিপথগামীদের সামনে উম্মোচিত করা হবে জাহান্নাম।
وَقِيلَ لَهُمْ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تَعْبُدُونَ
( 92 )
তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে।
مِن دُونِ اللَّهِ هَلْ يَنصُرُونَكُمْ أَوْ يَنتَصِرُونَ
( 93 )
আল্লাহর পরিবর্তে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে?
فَكُبْكِبُوا فِيهَا هُمْ وَالْغَاوُونَ
( 94 )
অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে আধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে।
وَجُنُودُ إِبْلِيسَ أَجْمَعُونَ
( 95 )
এবং ইবলীস বাহিনীর সকলকে।
قَالُوا وَهُمْ فِيهَا يَخْتَصِمُونَ
( 96 )
তারা তথায় কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়ে বলবেঃ
تَاللَّهِ إِن كُنَّا لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
( 97 )
আল্লাহর কসম, আমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ছিলাম।
إِذْ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ الْعَالَمِينَ
( 98 )
যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনকর্তার সমতুল্য গন্য করতাম।
وَمَا أَضَلَّنَا إِلَّا الْمُجْرِمُونَ
( 99 )
আমাদেরকে দুষ্টকর্মীরাই গোমরাহ করেছিল।
فَمَا لَنَا مِن شَافِعِينَ
( 100 )
অতএব আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই।
وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٍ
( 101 )
এবং কোন সহৃদয় বন্ধু ও নেই।
فَلَوْ أَنَّ لَنَا كَرَّةً فَنَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
( 102 )
হায়, যদি কোনরুপে আমরা পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ পেতাম, তবে আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারী হয়ে যেতাম।
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
( 103 )
নিশ্চয়, এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
( 104 )
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
كَذَّبَتْ قَوْمُ نُوحٍ الْمُرْسَلِينَ
( 105 )
নূহের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যারোপ করেছে।
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
( 106 )
যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের কি ভয় নেই?
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
( 107 )
আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত বার্তাবাহক।
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
( 108 )
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
( 109 )
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
( 110 )
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
قَالُوا أَنُؤْمِنُ لَكَ وَاتَّبَعَكَ الْأَرْذَلُونَ
( 111 )
তারা বলল, আমরা কি তোমাকে মেনে নেব যখন তোমার অনুসরণ করছে ইতরজনেরা?
قَالَ وَمَا عِلْمِي بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
( 112 )
নূহ বললেন, তারা কি কাজ করছে, তা জানা আমার কি দরকার?
إِنْ حِسَابُهُمْ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّي ۖ لَوْ تَشْعُرُونَ
( 113 )
তাদের হিসাব নেয়া আমার পালনকর্তারই কাজ; যদি তোমরা বুঝতে!
وَمَا أَنَا بِطَارِدِ الْمُؤْمِنِينَ
( 114 )
আমি মুমিনগণকে তাড়িয়ে দেয়ার লোক নই।
إِنْ أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
( 115 )
আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا نُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمَرْجُومِينَ
( 116 )
তারা বলল, হে নূহ যদি তুমি বিরত না হও, তবে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে।
قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوْمِي كَذَّبُونِ
( 117 )
নূহ বললেন, হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় তো আমাকে মিথ্যাবাদী বলছে।
فَافْتَحْ بَيْنِي وَبَيْنَهُمْ فَتْحًا وَنَجِّنِي وَمَن مَّعِيَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
( 118 )
অতএব, আমার ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করে দিন এবং আমাকে ও আমার সংগী মুমিনগণকে রক্ষা করুন।
فَأَنجَيْنَاهُ وَمَن مَّعَهُ فِي الْفُلْكِ الْمَشْحُونِ
( 119 )
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর সঙ্গিগণকে বোঝাই করা নৌকায় রক্ষা করলাম।
ثُمَّ أَغْرَقْنَا بَعْدُ الْبَاقِينَ
( 120 )
এরপর অবশিষ্ট সবাইকে নিমজ্জত করলাম।
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
( 121 )
নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে এবং তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
( 122 )
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
كَذَّبَتْ عَادٌ الْمُرْسَلِينَ
( 123 )
আদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ
( 124 )
তখন তাদের ভাই হুদ তাদেরকে বললেনঃ তোমাদের কি ভয় নেই?
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
( 125 )
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত রসূল।
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
( 126 )
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
( 127 )
আমি তোমাদের কাছে এর জন্যে প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো পালনকর্তা দেবেন।
أَتَبْنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ آيَةً تَعْبَثُونَ
( 128 )
তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অযথা নিদর্শন নির্মান করছ?
وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمْ تَخْلُدُونَ
( 129 )
এবং বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে?
وَإِذَا بَطَشْتُم بَطَشْتُمْ جَبَّارِينَ
( 130 )
যখন তোমরা আঘাত হান, তখন জালেম ও নিষ্ঠুরের মত আঘাত হান।
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
( 131 )
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।
وَاتَّقُوا الَّذِي أَمَدَّكُم بِمَا تَعْلَمُونَ
( 132 )
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে সেসব বস্তু দিয়েছেন, যা তোমরা জান।
أَمَدَّكُم بِأَنْعَامٍ وَبَنِينَ
( 133 )
তোমাদেরকে দিয়েছেন চতুষ্পদ জন্তু ও পুত্র-সন্তান,
وَجَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
( 134 )
এবং উদ্যান ও ঝরণা।
إِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
( 135 )
আমি তোমাদের জন্যে মহাদিবসের শাস্তি আশংকা করি।
قَالُوا سَوَاءٌ عَلَيْنَا أَوَعَظْتَ أَمْ لَمْ تَكُن مِّنَ الْوَاعِظِينَ
( 136 )
তারা বলল, তুমি উপদেশ দাও অথবা উপদেশ নাই দাও, উভয়ই আমাদের জন্যে সমান।
إِنْ هَٰذَا إِلَّا خُلُقُ الْأَوَّلِينَ
( 137 )
এসব কথাবার্তা পূর্ববর্তী লোকদের অভ্যাস বৈ নয়।
وَمَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِينَ
( 138 )
আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হব না।
فَكَذَّبُوهُ فَأَهْلَكْنَاهُمْ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
( 139 )
অতএব, তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলতে লাগল এবং আমি তাদেরকে নিপাত করে দিলাম। এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
( 140 )
এবং আপনার পালনকর্তা, তিনি তো প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
كَذَّبَتْ ثَمُودُ الْمُرْسَلِينَ
( 141 )
সামুদ সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ صَالِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ
( 142 )
যখন তাদের ভাই সালেহ, তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না?
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
( 143 )
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
( 144 )
অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
( 145 )
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
أَتُتْرَكُونَ فِي مَا هَاهُنَا آمِنِينَ
( 146 )
তোমাদেরকে কি এ জগতের ভোগ-বিলাসের মধ্যে নিরাপদে রেখে দেয়া হবে?
فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ
( 147 )
উদ্যানসমূহের মধ্যে এবং ঝরণাসমূহের মধ্যে ?
وَزُرُوعٍ وَنَخْلٍ طَلْعُهَا هَضِيمٌ
( 148 )
শস্যক্ষেত্রের মধ্যে এবং মঞ্জুরিত খেজুর বাগানের মধ্যে ?
وَتَنْحِتُونَ مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا فَارِهِينَ
( 149 )
তোমরা পাহাড় কেটে জাঁক জমকের গৃহ নির্মাণ করছ।
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
( 150 )
সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুগত্য কর।
وَلَا تُطِيعُوا أَمْرَ الْمُسْرِفِينَ
( 151 )
এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য কর না;
الَّذِينَ يُفْسِدُونَ فِي الْأَرْضِ وَلَا يُصْلِحُونَ
( 152 )
যারা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে এবং শান্তি স্থাপন করে না;
قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
( 153 )
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্থুরেদ একজন।
مَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا فَأْتِ بِآيَةٍ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
( 154 )
তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ বৈ নও। সুতরাং যদি তুমি সত্যবাদী হও, তবে কোন নিদর্শন উপস্থিত কর।
قَالَ هَٰذِهِ نَاقَةٌ لَّهَا شِرْبٌ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍ مَّعْلُومٍ
( 155 )
সালেহ বললেন এই উষ্ট্রী, এর জন্যে আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্যে আছে পানি পানের পালা নির্দিষ্ট এক-এক দিনের।
وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوءٍ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَظِيمٍ
( 156 )
তোমরা একে কোন কষ্ট দিও না। তাহলে তোমাদেরকে মহাদিবসের আযাব পাকড়াও করবে।
فَعَقَرُوهَا فَأَصْبَحُوا نَادِمِينَ
( 157 )
তারা তাকে বধ করল ফলে, তারা অনুতপ্ত হয়ে গেল।
فَأَخَذَهُمُ الْعَذَابُ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
( 158 )
এরপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
( 159 )
আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ الْمُرْسَلِينَ
( 160 )
লূতের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ
( 161 )
যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না ?
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
( 162 )
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
( 163 )
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
( 164 )
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তা দেবেন।
أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ
( 165 )
সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর?
وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُم مِّنْ أَزْوَاجِكُم ۚ بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ
( 166 )
এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।
قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا لُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِينَ
( 167 )
তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে।
قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُم مِّنَ الْقَالِينَ
( 168 )
লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি।
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
( 169 )
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা কর।
فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ
( 170 )
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম।
إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ
( 171 )
এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংস প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ
( 172 )
এরপর অন্যদেরকে নিপাত করলাম।
وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا ۖ فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنذَرِينَ
( 173 )
তাদের উপর এক বিশেষ বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। ভীতি-প্রদর্শিত দের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট।
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
( 174 )
নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
( 175 )
নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
كَذَّبَ أَصْحَابُ الْأَيْكَةِ الْمُرْسَلِينَ
( 176 )
বনের অধিবাসীরা পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
إِذْ قَالَ لَهُمْ شُعَيْبٌ أَلَا تَتَّقُونَ
( 177 )
যখন শো’আয়ব তাদের কে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না?
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
( 178 )
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
( 179 )
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ ۖ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ الْعَالَمِينَ
( 180 )
আমি তোমাদের কাছে এর জন্য কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তাই দেবেন।
أَوْفُوا الْكَيْلَ وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُخْسِرِينَ
( 181 )
মাপ পূর্ণ কর এবং যারা পরিমাপে কম দেয়, তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ
( 182 )
সোজা দাঁড়ি-পাল্লায় ওজন কর।
وَلَا تَبْخَسُوا النَّاسَ أَشْيَاءَهُمْ وَلَا تَعْثَوْا فِي الْأَرْضِ مُفْسِدِينَ
( 183 )
মানুষকে তাদের বস্তু কম দিও না এবং পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করে ফিরো না।
وَاتَّقُوا الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالْجِبِلَّةَ الْأَوَّلِينَ
( 184 )
ভয় কর তাঁকে, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী লোক-সম্প্রদায়কে সৃষ্টি করেছেন।
قَالُوا إِنَّمَا أَنتَ مِنَ الْمُسَحَّرِينَ
( 185 )
তারা বলল, তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম।
وَمَا أَنتَ إِلَّا بَشَرٌ مِّثْلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ الْكَاذِبِينَ
( 186 )
তুমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
فَأَسْقِطْ عَلَيْنَا كِسَفًا مِّنَ السَّمَاءِ إِن كُنتَ مِنَ الصَّادِقِينَ
( 187 )
অতএব, যদি সত্যবাদী হও, তবে আকাশের কোন টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও।
قَالَ رَبِّي أَعْلَمُ بِمَا تَعْمَلُونَ
( 188 )
শো’আয়ব বললেন, তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আমার পালনকর্তা ভালরূপে অবহিত।
فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمْ عَذَابُ يَوْمِ الظُّلَّةِ ۚ إِنَّهُ كَانَ عَذَابَ يَوْمٍ عَظِيمٍ
( 189 )
অতঃপর তারা তাঁকে মিথ্যাবাদী বলে দিল। ফলে তাদেরকে মেঘাচ্ছন্ন দিবসের আযাব পাকড়াও করল। নিশ্চয় সেটা ছিল এক মহাদিবসের আযাব।
إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
( 190 )
নিশ্চয় এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
( 191 )
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
وَإِنَّهُ لَتَنزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
( 192 )
এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ।
نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ
( 193 )
বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে।
عَلَىٰ قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ الْمُنذِرِينَ
( 194 )
আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন,
بِلِسَانٍ عَرَبِيٍّ مُّبِينٍ
( 195 )
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
وَإِنَّهُ لَفِي زُبُرِ الْأَوَّلِينَ
( 196 )
নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
أَوَلَمْ يَكُن لَّهُمْ آيَةً أَن يَعْلَمَهُ عُلَمَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ
( 197 )
তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাঈলের আলেমগণ এটা অবগত আছে?
وَلَوْ نَزَّلْنَاهُ عَلَىٰ بَعْضِ الْأَعْجَمِينَ
( 198 )
যদি আমি একে কোন ভিন্নভাষীর প্রতি অবতীর্ণ করতাম,
فَقَرَأَهُ عَلَيْهِم مَّا كَانُوا بِهِ مُؤْمِنِينَ
( 199 )
অতঃপর তিনি তা তাদের কাছে পাঠ করতেন, তবে তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করত না।
كَذَٰلِكَ سَلَكْنَاهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ
( 200 )
এমনিভাবে আমি গোনাহগারদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি।
لَا يُؤْمِنُونَ بِهِ حَتَّىٰ يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ
( 201 )
তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ না করে মর্মন্তুদ আযাব।
فَيَأْتِيَهُم بَغْتَةً وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
( 202 )
অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে পড়বে, তারা তা বুঝতে ও পারবে না।
فَيَقُولُوا هَلْ نَحْنُ مُنظَرُونَ
( 203 )
তখন তারা বলবে, আমরা কি অবকাশ পাব না?
أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ
( 204 )
তারা কি আমার শাস্তি দ্রুত কামনা করে?
أَفَرَأَيْتَ إِن مَّتَّعْنَاهُمْ سِنِينَ
( 205 )
আপনি ভেবে দেখুন তো, যদি আমি তাদেরকে বছরের পর বছর ভোগ-বিলাস করতে দেই,
ثُمَّ جَاءَهُم مَّا كَانُوا يُوعَدُونَ
( 206 )
অতঃপর যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হত, তা তাদের কাছে এসে পড়ে।
مَا أَغْنَىٰ عَنْهُم مَّا كَانُوا يُمَتَّعُونَ
( 207 )
তখন তাদের ভোগ বিলাস তা তাদের কি কোন উপকারে আসবে?
وَمَا أَهْلَكْنَا مِن قَرْيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ
( 208 )
আমি কোন জনপদ ধ্বংস করিনি; কিন্তু এমতাবস্থায় যে, তারা সতর্ককারী ছিল।
ذِكْرَىٰ وَمَا كُنَّا ظَالِمِينَ
( 209 )
স্মরণ করানোর জন্যে, এবং আমার কাজ অন্যায়াচরণ নয়।
وَمَا تَنَزَّلَتْ بِهِ الشَّيَاطِينُ
( 210 )
এই কোরআন শয়তানরা অবতীর্ণ করেনি।
وَمَا يَنبَغِي لَهُمْ وَمَا يَسْتَطِيعُونَ
( 211 )
তারা এ কাজের উপযুক্ত নয় এবং তারা এর সামর্থ?451; রাখে না।
إِنَّهُمْ عَنِ السَّمْعِ لَمَعْزُولُونَ
( 212 )
তাদেরকে তো শ্রবণের জায়গা থেকে দূরে রাখা রয়েছে।
فَلَا تَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَٰهًا آخَرَ فَتَكُونَ مِنَ الْمُعَذَّبِينَ
( 213 )
অতএব, আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। করলে শাস্তিতে পতিত হবেন।
وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
( 214 )
আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন।
وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
( 215 )
এবং আপনার অনুসারী মুমিনদের প্রতি সদয় হোন।
فَإِنْ عَصَوْكَ فَقُلْ إِنِّي بَرِيءٌ مِّمَّا تَعْمَلُونَ
( 216 )
যদি তারা আপনার অবাধ্য করে, তবে বলে দিন, তোমরা যা কর, তা থেকে আমি মুক্ত।
وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
( 217 )
আপনি ভরসা করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালুর উপর,
الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ
( 218 )
যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি নামাযে দন্ডায়মান হন,
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
( 219 )
এবং নামাযীদের সাথে উঠাবসা করেন।
إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
( 220 )
নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী।
هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ
( 221 )
আমি আপনাকে বলব কি কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে?
تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ
( 222 )
তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গোনাহগারের উপর।
يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ
( 223 )
তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
وَالشُّعَرَاءُ يَتَّبِعُهُمُ الْغَاوُونَ
( 224 )
বিভ্রান্ত লোকেরাই কবিদের অনুসরণ করে।
أَلَمْ تَرَ أَنَّهُمْ فِي كُلِّ وَادٍ يَهِيمُونَ
( 225 )
তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
وَأَنَّهُمْ يَقُولُونَ مَا لَا يَفْعَلُونَ
( 226 )
এবং এমন কথা বলে, যা তারা করে না।
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَذَكَرُوا اللَّهَ كَثِيرًا وَانتَصَرُوا مِن بَعْدِ مَا ظُلِمُوا ۗ وَسَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنقَلَبٍ يَنقَلِبُونَ
( 227 )
তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ।