বাংলা - সূরা আত-তাগাবুন

পবিত্র কুরআন » বাংলা » সূরা আত-তাগাবুন

বাংলা

সূরা আত-তাগাবুন - Verses Number 11
إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ قَالُوا نَشْهَدُ إِنَّكَ لَرَسُولُ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّكَ لَرَسُولُهُ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَكَاذِبُونَ ( 1 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 1
মুনাফিকরা আপনার কাছে এসে বলেঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রসূল। আল্লাহ জানেন যে, আপনি অবশ্যই আল্লাহর রসূল এবং আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।
اتَّخَذُوا أَيْمَانَهُمْ جُنَّةً فَصَدُّوا عَن سَبِيلِ اللَّهِ ۚ إِنَّهُمْ سَاءَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ( 2 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 2
তারা তাদের শপথসমূহকে ঢালরূপে ব্যবহার করে। অতঃপর তারা আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে। তারা যা করছে, তা খুবই মন্দ।
ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ آمَنُوا ثُمَّ كَفَرُوا فَطُبِعَ عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَفْقَهُونَ ( 3 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 3
এটা এজন্য যে, তারা বিশ্বাস করার পর পুনরায় কাফের হয়েছে। ফলে তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে। অতএব তারা বুঝে না।
وَإِذَا رَأَيْتَهُمْ تُعْجِبُكَ أَجْسَامُهُمْ ۖ وَإِن يَقُولُوا تَسْمَعْ لِقَوْلِهِمْ ۖ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُّسَنَّدَةٌ ۖ يَحْسَبُونَ كُلَّ صَيْحَةٍ عَلَيْهِمْ ۚ هُمُ الْعَدُوُّ فَاحْذَرْهُمْ ۚ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ ۖ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ ( 4 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 4
আপনি যখন তাদেরকে দেখেন, তখন তাদের দেহাবয়ব আপনার কাছে প্রীতিকর মনে হয়। আর যদি তারা কথা বলে, তবে আপনি তাদের কথা শুনেন। তারা প্রাচীরে ঠেকানো কাঠসদৃশ্য। প্রত্যেক শোরগোলকে তারা নিজেদের বিরুদ্ধে মনে করে। তারাই শত্রু, অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক হোন। ধ্বংস করুন আল্লাহ তাদেরকে। তারা কোথায় বিভ্রান্ত হচ্ছে ?
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا يَسْتَغْفِرْ لَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ لَوَّوْا رُءُوسَهُمْ وَرَأَيْتَهُمْ يَصُدُّونَ وَهُم مُّسْتَكْبِرُونَ ( 5 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 5
যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ তোমরা এস, আল্লাহর রসূল তোমাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করবেন, তখন তারা মাথা ঘুরিয়ে নেয় এবং আপনি তাদেরকে দেখেন যে, তারা অহংকার করে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ أَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ لَن يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ ( 6 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 6
আপনি তাদের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন অথবা না করুন, উভয়ই সমান। আল্লাহ কখনও তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না।
هُمُ الَّذِينَ يَقُولُونَ لَا تُنفِقُوا عَلَىٰ مَنْ عِندَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّىٰ يَنفَضُّوا ۗ وَلِلَّهِ خَزَائِنُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَٰكِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَفْقَهُونَ ( 7 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 7
তারাই বলেঃ আল্লাহর রাসূলের সাহচর্যে যারা আছে তাদের জন্যে ব্যয় করো না। পরিণামে তারা আপনা-আপনি সরে যাবে। ভূ ও নভোমন্ডলের ধন-ভান্ডার আল্লাহরই কিন্তু মুনাফিকরা তা বোঝে না।
يَقُولُونَ لَئِن رَّجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ ۚ وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَلَٰكِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَعْلَمُونَ ( 8 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 8
তারাই বলেঃ আমরা যদি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করি তবে সেখান থেকে সবল অবশ্যই দুর্বলকে বহিস্কৃত করবে। শক্তি তো আল্লাহ তাঁর রসূল ও মুমিনদেরই কিন্তু মুনাফিকরা তা জানে না।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ ( 9 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 9
মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।
وَأَنفِقُوا مِن مَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَيَقُولَ رَبِّ لَوْلَا أَخَّرْتَنِي إِلَىٰ أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ وَأَكُن مِّنَ الصَّالِحِينَ ( 10 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 10
আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
وَلَن يُؤَخِّرَ اللَّهُ نَفْسًا إِذَا جَاءَ أَجَلُهَا ۚ وَاللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ ( 11 ) আত-তাগাবুন - Ayaa 11
প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন।

বই

  • কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?কাদিয়ানীরা কেন নিন্দনীয়!? গ্রন্থটিতে গ্রন্থকার কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের আকীদা বিশ্বাস নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেছেন। আল্লাহ সম্পর্কে, ফেরেশতা সম্পর্কে, রাসূল ও কিতাব সম্পর্কে, আখেরাত ও তাকদীর সম্পর্কে এবং সালাত, সাওম, যাকাত ও হজ্জ সম্পর্কে কাদিয়ানীদের আকীদা-বিশ্বাস তাদের গ্রন্থ থেকেই উদ্ধৃত করা হয়েছে।

    অনুবাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/353688

    Download :কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?কাদিয়ানীরা নিন্দনীয় কেন?

  • ইবাদত-বন্দেগীতে মধ্যম পন্থা অবলম্বনআল্লাহর দীন সহজ। বান্দাদের জন্য যা সহজ আল্লাহ তাআলা তা-ই তাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেন। আর যা কঠিন আল্লাহ তাদের জন্য তা চান না। আর দীনের ব্যাপারে যে বাড়াবাড়ি করে দীন তাকে পরাহত করে ফেলে। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে এ বিষয়টির প্রতিই আলোকপাত করা হয়েছে এবং ইবাদত পালনে ইফরাত, তাফরিত তথা অতিরঞ্জন থেকে দূরে থাকার প্রতি তাগিদ করা হয়েছে।

    সংকলন : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

    সম্পাদক : ইকবাল হোছাইন মাছুম

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/320548

    Download :ইবাদত-বন্দেগীতে মধ্যম পন্থা অবলম্বনইবাদত-বন্দেগীতে মধ্যম পন্থা অবলম্বন

  • নাজাফ সম্মেলননাজাফ সম্মেলন: মুহিব্বুদ্দিন আল-খতিব বলেন, এ সম্মেলনটি মুসলিমদের ইতিহাসে শিয়া ও সুন্নীদের জন্য এক বিরাট সম্মেলন হিসেবে বিবেচিত, বরং এটিই প্রথম সম্মেলন, এরপর এর ধরনের সম্মেলন আর সংঘটিত হয় নি; যদিও এর প্রয়োজন ছিল। কারণ সাফাভী রাজবংশ এখনও ভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য এখনো প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। সুতরাং পূর্ববর্তী সাফাভীরা যে অন্যায়ের প্রচলন করেছে বর্তমান কালের শিয়ারাও সে একই আকীদায় বিশ্বাসী। তারা তাকীয়্যা, ইসলামের প্রতি ভালবাসার যতই প্রকাশ করুক না কেন, তারা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী। বাদশাহ নাদির শাহের সময়ে অনুষ্ঠিত সে সম্মেলনে তারা ঐক্যের স্বার্থে তাদের অনেক অন্যায় কাজ পরিত্যাগ করতে রাজী হয়েছিল, তন্মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল, ১-সাহাবায়ে কিরামকে গালি দেয়া, কাফির বলা, আবু বকর, উমর, উসমানের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করা। ২- মুত‘আ বিয়ে বাতিল করা। ইত্যাদি

    সম্পাদক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/353681

    Download :নাজাফ সম্মেলননাজাফ সম্মেলন

  • তারাবীহ্‌ সালাতের রাকা‘আত : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণপ্রবন্ধকার তারাবীহ সালাতের মূল কী ছিল তা বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া তারাবীহ সালাতের রাকা‘আত সংখ্যার ব্যাপারে বিভিন্ন মাযহাবের মতামত ও তাদের দলীল প্রমাণাদি তুলে ধরেছেন। সবশেষে এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য আলেমদের মতামত পেশ করেছেন।

    সংকলন : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    অনুবাদক : মো: আব্দুল কাদের

    প্রকাশনায় : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ

    Source : http://www.islamhouse.com/p/364840

    Download :তারাবীহ্‌ সালাতের রাকা‘আত : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণতারাবীহ্‌ সালাতের রাকা‘আত : একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

  • তিন মূলনীতিতুমি আল্লাহকে জেনেছ ? তার দ্বীনকে ? রেসালাত নিয়ে যিনি প্রেরীত হয়েছেন তোমাদের নিকট, চেন তাকে ? পরজগতের দীর্ঘ সফরের সূচনায় ব্যক্তি সর্বপ্রথম যে বাস্তবতার মুখোমুখী হবে, তা এই তিনটি প্রশ্ন ও তার উত্তর। প্রশ্নগুলো কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ইসলামের তিন মূলনীতি

    সংকলন : মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুল ওয়াহহাব

    অনুবাদক : মুহাম্মাদ ইব্রাহীম আব্দুল হালীম

    প্রকাশনায় : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদিনা মুনাওয়ারার ওয়েবসাইট - ইসলামী গ্রন্থাগার : http://www.islamicbook.ws

    Source : http://www.islamhouse.com/p/281

    Download :তিন মূলনীতিতিন মূলনীতি

ভাষা

Choose সূরা

বই

Choose tafseer

Participate

Bookmark and Share